লক্ষ্মীপুর: ঈদের আগের দিন লক্ষ্মীপুরের গরুর হাটগুলোতে গরুর সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় গরুর পরিমাণ কম দেখা গেছে।
শনিবার (৯ জুলাই) সকালে জেলার রায়পুরের ঐতিহ্যবাহী মোল্লারহাট বাজার এবং দুপুরে সদর উপজেলার জকসিন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। আবু সুফিয়ান নামে মোল্লারহাট বাজারে গরু কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, বিভিন্ন বাজারে গরু কেনার জন্য ঘুরেছি। কিন্তু কোথাও গরু পাচ্ছি না। মোল্লারহাট বাজারের মতো জেলার বড় এ বাজারেও গরুর উপস্থিতি কম। তাই বিক্রেতারা ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
জকসিন বাজারে গরু কিনতে আসা ক্রেতা সফিকুল ইসলাম বলেন, ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। যা গত বাজারে লাখ টাকা নিচে ছিল। গরু সংকটের কারণে অতিরিক্ত দামে গরু কিনতে হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, জকসিন বাজারে বেপারীদের কোনো গরু নেই। যা আছে বেশিরভাগ ছোট আকারের দেশি গরু। তাই ক্রেতারা হিসাবে মিলাতে পারছে না। বেপারীরা তাদের গরু আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। সোহাইব নামে এক ক্রেতা বলেন, আগে গরু না কিনে ভুল হয়েছে। এখন বাড়তি দামে গরু কিনতে হবে।
জকসিন বাজারে গরু বিক্রি করতে আসা আবুল বাসার নামে একজন বলেন, বাজারে বিক্রি করার জন্য নিজের পোষা একটি গরু নিয়ে এসেছি। ৭৫ হাজার টাকা হলে বিক্রি করতাম। কিন্তু তার থেকে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো বলে মনে হচ্ছে। বাজারে প্রচুর ক্রেতা আছে। সে হিসেবে গরুর পরিমাণ কম। জকসিন গরু বাজারের ইজারাদার মোজাম্মেল হোসেন মিজান পাটওয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, গেল হাটে বাজারে প্রচুর গরু ছিল। কিন্তু বিক্রি কম হয়েছে। কিন্তু আজকের হাটে গরু কম আসছে। দূরের বেপারীরা গরু বিক্রি করে চলে গেছেন। বাজারে যে গরুগুলো উঠেছে, সেগুলো স্থানীয়দের পালিত গরু। তাই ক্রেতারা হাট ঘুরেও তাদের পছন্দের গরু বেচে নিতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে যে পরিমাণ গরু আছে, তার চেয়ে ক্রেতার উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২২
এএটি