ঢাকা: কোরবানির খাসির চামড়া প্রতি পিস ১০ টাকায় কিনছেন রাজধানীর চামড়া ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১০ জুলাই) রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ে এ মূল্যে খাসির চামড়া কেনা-বেচা হতে দেখা যায়।
খাসির চামড়া বিক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা খাসির চামড়ার দাম অনেক কম দিচ্ছেন। খাসির চামড়া বিক্রি করে রিকশা ভাড়াও উঠছে না। ১০ টাকায় একটি চামড়া বিক্রি করলে গরিব মানুষকে এখান থেকে আর কয় টাকা দেবো। এই দাম হলে অনেকেই খাসির চামড়া বাধ্য হয়ে ফেলে দেবেন এমনটাও বলছেন অনেকে।
ক্রেতারা বলছেন, খাসির চামড়া প্রতি পিস ১০ টাকা, তবে বড় চামড়া হলে সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ টাকায়ও আমরা কিনছি।
রহমান নামের এক খাসির চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিটি চামড়ায় ৫০ টাকা খরচ আছে। সেসঙ্গে পরিবহন খরচও আছে। এই দামে কিনেও লাভ করতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে।
জাবেদ নামের আরেকজন চামড়া ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, খাসির চামড়া এখন দেশের বাইরে চাহিদা একেবারেই কমে গেছে। আমাদের দেশেই খাসির চামড়া লোকাল প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে হয়, তাই খাসির চামড়ার দাম কম। আমরা বেশি দামে বিক্রি করতে পারলে, বেশি দামে কিনতে সমস্যা নেই। বিক্রি না থাকলে আমাদের করার কী আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা খাসির সব চামড়াই কিনি। তবে বিদেশে যেসব চামড়ার মান খুব ভালো সেগুলোর কিছু চাহিদা আছে। আমরা যে চামড়া কিনি, সেখান থেকে চার/পাঁচবার বাছাই করে, বিদেশি ক্রেতারা এগুলো নেয়, তাতে দেখা যায় আমাদের গড়ে লাভ একেবারেই কমে যায়।
খাসির চামড়া দাম কম থাকার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, খাসির চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কম। খাসির চামড়া এমনিতেই অনেক ছোট, আবার চামড়া ছাড়ানোর সময়ে অসাবধানতার কারণে বিভিন্ন জায়গায় কাটার দাগ পড়ে যায়, সেগুলো আর কেউ নিতে চায় না, ফলে খাসির চামড়ার মূল্য আর থাকে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২২
আরকেআর/এএটি