রাজশাহী: সাধারণ সময়ে রাজশাহীর বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৭০ টাকা। তবে সেই দামের তেমন তফাৎ নেই কোরবানির ঈদেও! আজ রোববার (১০ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের দাম হাঁকা হয়, ৬২০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা!
প্রতিবছরের ন্যায় কোরবানির সংগ্রহকৃত মাংসের বাজার বসেছিল আজও।
রোববার বিকেলের পর শহর ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী রেলস্টেশন, শিরোইল বাস টার্মিনাল, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর, দড়িখড়বোনা, লক্ষ্মীপুর, হড়গ্রাম, সরকারি মহিলা কলেজের মোড়সহ মহানগরীর বিভিন্ন মোড়ে বসেছিল কোরবানির সংগ্রহকৃত মাংসের বাজার।
যেখানে গত বছর কোরবানির মৌসুমেও ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে তারা সংগ্রহকৃত মাংস বিক্রি করছেন ক্রেতাদের কাছে। এবার দাম নিচ্ছেন ৬২০ টাকা থেকে ৬৫০ কেজি দরে। আর কোরবানির সংগ্রহকৃত খাসির মাংসের দর ছিল ৮২০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা কেজি।
মহানগরীর শিরোইল কলোনি এলাকার মাংস বিক্রেতা শফিকুল বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩০ কেজি মাংস কেনাবেচা করেছেন। এতে তার ভালোই লাভ হয়েছে। পাড়া-মহল্লা থেকে ভিক্ষুক ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ যেই মাংস সংগ্রহ করেছেন তা তারা কিনে নিয়েছেন। পরে সেই মাংস আবার ভ্যানে করে বিক্রি করে বেরিয়েছেন। বছরের এই একদিনই তিনি মাংসের ব্যবসা করেন। রেলওয়ে কলোনি এলাকার সাজ্জাদ আলী বলেন, যারা অর্থাভাবে অথবা সময়ের অভাবে কোরবানি দিতে পারেননি এবং যাদের এই মহানগরে বড় খাবারের হোটেল আছে তারাই মূলত এ মাংসের ক্রেতা। পারিবারিক প্রয়োজনে ২/৩ কেজি করে কোরবানির সংগ্রহকৃত মাংস কিনে বাড়ি নিয়ে গিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন। আর হোটেল ব্যবসায়ীরা কিনে যান মজুদের জন্য।
তবে কোরবানির সংগ্রহকৃত মাংসের দাম বেশি হওয়া বিরূপ মন্তব্য করেন মহানগরীর শালবাগান এলাকার ক্রেতা বাবুল মিয়া।
তিনি বলেন, প্রতিবছর এভাবে কোরবানির সংগ্রহকৃত মাংসের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ আর ভাসমান দোকান থেকে মাংস কিনতে আসবেন না। কোরবানির ঈদের দিন দোকানের দামেই যদি মাংস কিনতে হয় তাহলে ঈদের একদিন আগেই কেনা ভালো। অন্তত ভালো মানের মাংস পাওয়া যাবে। বেশি দাম দিয়ে এমন বাছাই করা মাংস কিনতে হবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২২
এসএস/এএটি