কুড়িগ্রাম: বর্ষাকালে গাছ-পালা প্রকৃতিতে যেমন পরিবর্তন দেখা দেয়, তেমনি খাল-বিল, নদ-নদী পানিতে প্লাবিত হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে মাছ ধরতে নেমে পড়ে মানুষজন।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) কুড়িগ্রাম সদরের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের যাত্রাপুর হাটে দেশীয় মাছ ধরার জন্য বাঁশের তৈরি ডারকি, চেচলা, খলাইসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বিক্রি করতে দেখা যায়।
চরাঞ্চল বা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এসব মাছ ধরার ফাঁদ তৈরি করে এনে বিক্রি করছেন কারিগররা। যাত্রাপুর হাটে কারিগররা বাঁশের তৈরি এসব ফাঁদ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় একজোড়া দুটি বিক্রি করছেন।
যাত্রাপুর হাটে মাছ ধরার ফাঁদ (ডারকি) কিনতে আসা মাছ শিকারি শমসের আলী বাংলানিউজকে জানান, বর্ষাকাল এলেই নদী-নালা উপচে খাল-বিলে পানি ঢুকতে শুরু করে। ফলে খাল-বিলে নানা জাতের দেশি মাছও আসে। আর এসব মাছ ধরাতে বাঁশের তৈরি ফাঁদ খুবই উপযোগী। ব্রহ্মপুত্র নদের প্রত্যন্ত চরের মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রেতা ইব্রাহিম মিয়া জানান, এই সময় মাছ ধরার ফাঁদের চাহিদা প্রচুর। একটি ভালো মানের বাঁশ থেকে দুটি ডারকি তৈরি করা যায়। বাঁশ কিনে পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় এসব ফাঁদ তৈরি করা হয়। পরে সেগুলো হাটে বিক্রি করেন তিনি। এরপর সংসারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসিপত্র কিনে বাড়িতে যাবেন তিনি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বাংলানিউজকে জানান, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির ফলে নদ-নদী উপচে খাল-বিল-নালায় পনি ঢুকলে সেসঙ্গে দেশীয় প্রজাতির মাছ দেখা দেয়। এসব মাছ ধরার জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে বাঁশের তৈরি ফাঁদ খুব কাজে দেয়। তাই হাটের দিন বিপুল পরিমাণ মাছ ধরার ফাঁদ কেনাবেচা হয়। স্থানীয় কারিগররা এসব বিক্রি করে যেমন লাভবান হন। ঠিক তেমনি গ্রামাঞ্চলের মানুষ এই ফাঁদ ব্যবহার করে মাছ ধরে নিজেদের চাহিদা মেটাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
এফইএস/এএটি