দিনাজপুর: বড়পুকুরিয়ায় পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম শুরুর তিন দিনের মাথায় খনির অভ্যন্তরে কর্মরত চীনা ও বাংলাদেশি ৫২ শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে আবারও কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
খনি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস পর চলতি মাসের ২৭ জুলাই নতুন কূপে পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন শুরু করে খনি কর্তৃপক্ষ। এ সময় খনিতে ৩০০ জন চীনা ও ৪০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক অবস্থান করছিলেন। গত ২৬ জুলাই ১৪৩ জন শ্রমিকের রেনডোম পরীক্ষা করা হলে ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরে ২৮ জুলাই ৩০৫ জন চীনা ও বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনার নমুনা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৯২ জন চীনা ও ১৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিক ছিলেন। ৩০৫ জনের মধ্যে ৩৪ জন চীনা ও দু’জন বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার বাংলানিউজকে জানান, আমরা ২০ দিন আগে খনি থেকে প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করেছি। সাধারণত প্রথম সাতদিন প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলন করার পর তা চূড়ান্তভাবে কয়লা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। খনিতে কর্মরত চীনা শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- আগের মতো যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের খনির বাইরে রেখে নতুন করে করোনামুক্তভাবে খনিতে প্রবেশ করানো হবে। করোনা আক্রান্ত চীনা শ্রমিকদের সঙ্গে সংস্পর্শে গেছে তারা খনির বাইরে চলে গেছেন। খুব তাড়াতাড়ি বাইরে যে সব শ্রমিক বাইরে গেছেন, তাদের খনিতে ফিরিয়ে আনা হবে।
তিনি আরও জানান, খনিতে যারা করোনা আক্রান্ত হয়নি, তাদের দিয়ে খনির প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলনের কূপের উন্নয়ন কাজ করানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
এসআরএস