ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস দিতে বাধ্য হই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
‘সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস দিতে বাধ্য হই’ ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, শেয়ারবাজারে ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেওয়া) আমরা দিতে চাই না। কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে দিতে বাধ্য হই।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেশি। উন্নত দেশে শিক্ষিত ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এমনটি করা লাগে না।

রোববার (৩১ জুলাই) সকালে পল্টনের আলরাজী কমপ্লেক্সে ‘সিএমজেএফ টক উইথ বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শুধু ইক্যুইটি (শেয়ার ও ইউনিট) দিয়ে জিডিপির তুলনায় বাজারের আকার ধরে রাখা এবং ২০% এর বেশি করা সম্ভব না। যেসব দেশে জিডিপির তুলনায় শেয়ারবাজারের আকার তুলনামূলক বড়, সেসব দেশে ডেবট (বন্ড) মার্কেট দিয়ে বড় হয়েছে। আমাদের দেশেও বন্ডের লেনদেন শুরু হলে বাজারের আকার বড় হয়ে যাবে। তখন লেনদেনের পরিমাণও অনেক বেড়ে যাবে।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, লং টাইম অর্থায়নের জন্য বন্ড নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) যৌথভাবে কাজ করছে। আগামীতে বন্ড মার্কেট পপুলার হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিজেদের পোর্টফোলিও ম্যানেজ করতে হয় না, যা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রফেশনাল লোকজন দিয়ে ম্যানেজ করা হয়। যার ফলে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়। গত ২ বছরের বিশ্লেষণে ৮০-৯০% মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে ১০%-১২% লভ্যাংশ দিতে দেখেছি। এ বছরও ভালো লভ্যাংশ দেবে বলে আশা করছি। তাই যারা বাজার সর্ম্পকে ভালো বোঝেন না, তারা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন।

বিনিয়োগ সীমা কস্ট প্রাইসে গণনার বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এটি এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এটি করার জন্য বর্তমান গভর্নর সচিব থাকার সময় উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নিচের কর্মকর্তাদের আপত্তির কারণে হয়নি। তবে এবার হয়ে যাবে। এটি বাস্তবায়নে আইন পরিবর্তনের পরিবর্তে অন্য কোনোভাবে করার কাজ করা হচ্ছে।

ক্যাপিটাল ম্যার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) অবণ্টিত লভ্যাংশ না দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, যারা এখনো দেয়নি তাদের জরিমানাসহ আগামীতে দিতে হবে। এটা অনেকটা দৈনিক ভিত্তিতে সুদ গণনার মতো হবে। এ লক্ষ্যে গেজেট প্রকাশের জন্য কাজ করা হচ্ছে।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ভালো কোম্পানি আনার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তবে সবাই চায় ভালো অ্যাকাউন্টস জমা দিয়ে আসতে। এ কারণে অনেকে আসার জন্য অপেক্ষা করছে। হয়তো জুন ক্লোজিংয়ের হিসাবে কয়েকটি ভালো কোম্পানির আবেদন জমা পড়তে পারে। তবে আমরা যখন ভুয়া অ্যাকাউন্টস বুঝতে পারি, তখন সেসব আইপিও ফাইল বাতিল করে দেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।