ঢাকা: মিনিকেট চাল বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআর এফ) সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের দেশের প্রকৃতি যেমন অস্থির, দেশের ব্যবসায়ীরাও তেমনি অস্থির। চালের সরাবরাহ প্রচুর আছে। সেখানে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়াটা অনুচিত বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা যখন চালের দাম রাতারাতি ৭-৮ টাকা বাড়িয়ে দিলো, আমি সেদিন সারারাত ঘুমাইনি। অফিসে সময়ের আগেই চলে আসি। সেদিনই ঘোষণা দিয়েছিলাম যে ১ তারিখে (সেপ্টেম্বর) ওএমএস চালু হবে। ওইদিন এটা আমরা উদ্বোধনও করেছি এবং এখনো চালু আছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের আরও অনেক পরিকল্পনা আছে। ভোক্তারা যাতে শান্তি পায়, দেশে যেন হাহাকার না হয়। সেভাবেই আমরা কাজ করছি। অবশ্য দেশে যে মজুত আছে তাতে হাহাকার সৃষ্টি হওয়ার কোনো কারণ নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, মিনিকেট চাল বলে কিছু নেই। মিনিকেটের উৎপত্তি কোথায়। অনেক আগে উচ্চ ফলনশীল চিকন ধানের বীজ ভারত থেকে আমদানি করা হত। সেই বীজ মিনি প্যাকেটে আসতো। সেই মিনি প্যাকেট থেকে মিনিকেট নাম দেওয়া হয়েছে। ভোক্তা অধিকার এ নাম উচ্ছেদ করতে চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আইন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। বস্তার গায়ে নাম যাই লিখুক না কেন, ধানের জাত উল্লেখ থাকতে হবে। চালের ছাটাইয়ের একটা রেশিও থাকবে, তার বেশি ছাটাই করা যাবেনা।
দেশ এবং জনগণের উপকারে হবে এমন যেকোনো তথ্য জনসাধারণকে দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন।
সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএসআরএফের অন্যান্য সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
আরকেআর/জেডএ