ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শাবিপ্রবিতে কুকুরের উৎপাত, আতঙ্কে শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
শাবিপ্রবিতে কুকুরের উৎপাত, আতঙ্কে শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা

শাবিপ্রবি (সিলেট): করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ার পর থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে বেড়েছে কুকুরের উৎপাত। ফলে আতঙ্কে আছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের গোলচত্বর, মুক্ত সংলগ্ন এলাকা, গিফারী চত্বরে শিক্ষার্থীরা সবসময় আড্ডায় সরব থাকেন। তবে এসব জায়গায় গড়ে উঠেছে কুকুরের আশ্রয়স্থল। এসব জায়গা ছাড়াও ক্যাম্পাসের বাসস্ট্যান্ড, চেতনা-৭১, ফুডকোর্ট, ছাত্রীহল রোড, কিলোরোড, বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের আশপাশে দলবদ্ধভাবে ঘোরাফেরা করে কুকুর। ফলে চলাফেরা নিয়ে আতঙ্ক কাজ করছে তাদের মাঝে।

একাধিক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে বহু সংখ্যক কুকুরের আনাগোনা বেড়েছে পূর্বের তুলনায় কয়েকগুণ। বিশেষ করে করোনার পর থেকে কুকুরের সংখ্যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। অনেকে আবার কুকুরকে খাওয়াচ্ছেন, করছেন আদর ও মায়া। তাতেই কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। অনেকে আবার কুকুর দেখলেই ভয় পান। সেক্ষেত্রে এসব কুকুরের কারণে তাদের চলাফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়।  

এছাড়া গত একমাসে একাধিক শিক্ষার্থী ও কর্মচারী কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন স্টাফ ক্যান্টিনের পরিচালক মো. কবির হোসেনের বাবা মো. ফজলু মিয়া। এ বিষয়ে কবির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা-৭১ এর সামনে আমার বাবার হাঁটুর নিচে কুকুর কামড় দিয়েছে। তিনি দৌড়ে ক্যান্টিনে আসেন। পরে তাকে সিলেট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছি।  

বিভিন্ন সময় কুকুরের আক্রমণে বা তাড়া খেয়ে অনেক শিক্ষার্থী দৌঁড়ে ক্যান্টিনে এসে রক্ষা পান। যা ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কুকুরের কামড়ে আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিশিয়ান অজয় চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা-৭১ এর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি কুকুর আমার পায়ে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে ইনজেকশন নিয়েছি। পরে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করেছি।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের অনেক শিক্ষার্থী কুকুর পোষে। এখন যা অবস্থা শুনছি, তাতে কুকুর মারা ছাড়া আর উপায় নেই। আবার কুকুর মারলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যাবে। তবে নিরাপত্তা কর্মীদের সবসময় সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।