ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

ডি-নথির যুগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
ডি-নথির যুগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

খুলনা: দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) যুগে প্রবেশ করল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-নথি কার্যক্রম উদ্বোধন হয়।

এর উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে প্রথম ধাপে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রমের পৃথক উদ্বোধন করেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এ সময় নিজ আইডি লগ ইনের মাধ্যমে একটি পত্র জারির মাধ্যমে ডি-নথি কার্যক্রমের সূচনা করেন। এ সময় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, সব বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা।

ডি-নথির এ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইলের কাজ ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্পাদিত হবে। উপাচার্যসহ সব পর্যায়ের অনুমোদনকারীরা যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময় ফাইল অনুমোদন করতে পারবেন। এতে তাদের সময়ের ব্যয় কমবে। কাগজ সাশ্রয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাটিও নিশ্চিত হবে। এছাড়া প্রশাসন ও একাডেমিক ক্ষেত্রে গতিশীলতা বাড়বে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি কার্যক্রমের আওতায় আসবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অভিলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে যে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে সেটি তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা রাখবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আজকের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির প্রথম সারির হাতিয়ার।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথা তুলে ধরে পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন তার হাত ধরেই এসেছিল। এখন উন্নত বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির রূপকল্প তারই চিন্তাপ্রসূত। ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করা এবং সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা, ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরি করা, সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল পরিসেবার মাধ্যমে কাজ সহজসাধ্য করা ও সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া, মাথাপিছু আয় ১২৫০০ ডলারে উন্নীত করার অভিলক্ষ্য অর্জন করতে হবে। এজন্য সরকার নলেজবেজড ইকোনোমিতে যেতে চায়। এর মূল উদ্দেশ্য জনগণের জীবনমান উন্নত করা।

স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিতে কর্মসংস্থান বহুগণে বাড়বে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন পলক। তিনি ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার (আরআইসি) তৈরির উদ্যোগসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন।

ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান। ইউজিসির সদস্য, খুবির বিভাগীয় প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
এমআরএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।