ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

হাবীবুল্লাহ্ বাহার কলেজে বাড়তি বেতন আদায়ের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
হাবীবুল্লাহ্ বাহার কলেজে বাড়তি বেতন আদায়ের অভিযোগ

ঢাকা: রাজধানীর হাবীবুল্লাহ্ বাহার ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে চার মাসের অতিরিক্ত বেতন আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৬ জুলাই) এর প্রতিবাদ জানাতে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কোনো রকম সমাধানে পৌঁছতে পারেনি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাবীবুল্লাহ্ বাহার ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে এবার অন্তত ৭০০ শিক্ষার্থী পরীক্ষার্থী হবেন। তাদের কাছ থেকে চার মাসের অতিরিক্ত বেতন আদায় করা হচ্ছে। প্রতি পরীক্ষার্থী থেকে অতিরিক্ত চার হাজার টাকা করে বেতন আদায় করলে মোট অর্থের পরিমাণ হয় ২৮ লাখ টাকা। কলেজ কর্তৃপক্ষ এ অর্থ হাতিয়ে নিতে চাচ্ছে।

সকাল থেকে দুপুর; দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে লাগলেও তারা আমাদের সঙ্গে কোনো সমাধানে আসেননি।

কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের এক ছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, বোর্ড থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ৩ মাসের বেতন নিতে চাচ্ছে ও এক্সট্রা ক্লাসের কথা বলে বাধ্যতামূলক আরও একমাসের বেতন চাচ্ছে। এ বছর আমাদের কলেজের তিন বিভাগ মিলিয়ে এবার পরীক্ষার্থী আছে প্রায় ৭০০ জন।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে দুই বছরে ২১ মাসের বেতন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২১ মাসের বেতন নেওয়ার কথা। এটাই সরকারি নিয়ম। ওমেন্স কলেজ, সিটি কলেজ, ন্যাশনাল কলেজ, ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ কিন্তু ২৪ মাসের বেতন নিচ্ছে না। আমাদের কলেজ প্রতি ছাত্র থেকে চব্বিশ মাসের বেতন হিসেবে ২৪ হাজার টাকা করে নিচ্ছে।

অপর এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের টেস্ট পরীক্ষার পর অন্তর্বর্তী ক্লাসের কথা বলে প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে অতিরিক্ত এক হাজার টাকা করে মাসিক বেতন আদায় করা হচ্ছে। বাড়তি বেতন নেওয়ার কারণ কোনো শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষের কেউ বলছেন না। আমাদের কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল রকিবুল হক আমাদের কথার কোনো মূল্যায়ন করছেন না। কারও কোনো কথা শুনছেন না। এই কলেজের আর্থিক দুর্নীতি অনেক আগে থেকেই চলে এসেছে। এর আগেও আর্থিক দুর্নীতির কারণে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ প্রচার হয়েছে।

এ ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষের কেউ বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি হাবীবুল্লাহ্ বাহার ইউনিভার্সিটি কলেজ ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল রকিবুল হকের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেও তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।