নীলফামারী: নীলফামারীর ডোমারে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ জন। কিন্তু সেখানে উপবৃত্তি পায় ২৩ জন! ভুয়া আট শিক্ষার্থীর নাম দিয়ে উপবৃত্তির টাকা ভাগ করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত নয়ানী বাগডোকরা শিমুলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে রাতারাতি ১৫ জন শিক্ষার্থীর হাজিরা খাতাটি পরিবর্তন করে ২৩ জন শিক্ষার্থীর নাম লিপিবদ্ধ করে নতুন হাজিরা খাতা তৈরি করেন।
শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও স্লিপের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুশীল রায় বলেন, বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পায় না। অথচ অন্য বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে, এমন শিক্ষার্থীও উপবৃত্তি পায়। বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দের স্লিপের টাকার নিয়ম অনুযায়ী খরচ করে না। আমরা জানতে চাইলে সঠিক কিছু বলেন না প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বলেন, ‘কোনো কিছু জানার থাকলে শিক্ষা অফিস থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে আসবেন। তারপর জানাব। ’
ডোমার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত চলছে। প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৩
এসআরএস