ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের (খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে তিন জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
তারা ২০-২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন, এমন অভিযোগে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ জালিয়াতি চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুস্তম আলী, বগুড়া সদরের মো. ইশান ইমতিয়াজ ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের রোকনুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত লিখিত পরীক্ষার আগে জালিয়াতি চক্রের প্রলোভনে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান। চক্রের কোনো তৎপরতার সন্ধান পাওয়া গেলে নিকটস্থ থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, প্রথম পর্বের পরীক্ষার সময়ও এ ধরণের চক্র সক্রিয় ছিল। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সজাগ ও সতর্ক ভূমিকায় তাদের অপপ্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের অনিয়ম ঠেকানোর জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে।
২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২টি জেলাশহরে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
এমআইএইচ/আরএইচ