ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড-১০ বাস্তবায়ন ও প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড-৯ বাস্তবায়ন এবং সহকারী শিক্ষককে এন্ট্রি (প্রবেশ) পদ ধরে প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার চালু ও শতভাগ পদোন্নতির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
বৈষম্যবিরোধী প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে দুই দফা দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক সংস্কার প্রস্তাবনা বাতিলেরও দাবি জানানো হয়েছে।
মানববন্ধনে দুই দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের কাছে তুলে ধরে বলা হয়, আমাদের আশা এই বৈষম্যপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাব বাতিল করে প্রাথমিক শিক্ষার সব স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে একটি যৌক্তিক যুগোপযোগী এবং প্রতিনিধিত্বমূলক প্রাথমিক শিক্ষা সংস্কার প্রস্তাব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তৈরি করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠাবেন।
প্রাথমিক শিক্ষার মূল চালিকাশক্তি সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রহসনমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক সংস্কার প্রস্তাবনা বাতিলের জন্য এই মানববন্ধন হবে। এতে সারা দেশ থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা অংশ নেন।
এই দাবিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানান শিক্ষকরা।
প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের পক্ষে মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ বাংলাদেশের সমন্বয়ক খাইরুন নাহার লিপি, গাজীপুর জেলার শিক্ষক নজরুল ইসলাম, বগুড়া জেলার শিক্ষক আরাফাত হোসেন, নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক মাসুদ বক্তব্য দেন।
খাইরুন্নাহার লিপি বলেন, আমরা আজকে এখানে এসেছি অন্ধকার কালো আইনকে আলোর মুখ দেখাতে। এই শিক্ষকরা সারা দেশের সাড়ে তিন লাখ সহকারী শিক্ষকের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আজ বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে সংস্কার করে সুন্দর ও প্রগতিশীল ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু শিক্ষকদের মধ্যে অনেক ভাগ, তারা সরকারের দালাল হয়ে কাজ করেন। আজকে যেহেতু রাষ্ট্র সংস্কার হচ্ছে, সহকারী শিক্ষকদেরও কাঠামো সংস্কার করতে হবে। সহকারী শিক্ষকরা পাঠদান বন্ধ করলে প্রাথমিক শিক্ষা ভেঙে পড়বে। এজন্য দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
এমআইএইচ/এএটি