চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী মো. আসাদুজ্জামান (আসাদ) নিহত হবার ঘটনায় নগরীর রেলওয়ে থানায়া একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১টার দিকে বিশ্বদ্যিালয়ের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১২জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন।
এজহারে উল্লেখিত আসামিরা হলো মিজান, রাশেদ, লিটন, মিন্টু, সোহান, মাসুম, হারুন, ওয়াসিম ও রফিক। এরা সবাই জোবরা গ্রামের ফতেহপুর এলাকার বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার রাতে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র আসাদ।
এদিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, ঘটনাস্থল হাটজারী থানা এলাকায় হলেও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের রার জন্য বিশ্বদ্যিালয় প্রশাসন ও স্থানীয় থানা কৌশলে আসাদ হত্যা মামলা রেলওয়ে থানায় স্থানান্তর করেছে। এ ব্যাপারে বিশ্বদ্যিালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এরশাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আসাদকে ক্যাম্পাসের গুলবাহার কটেজের সামনে কুপিয়ে জখম করে টেনে হিচড়ে রেললাইন সংলগ্ন জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় তার রক্ত রেল লাইনর ওপর পড়ার অজুহাতেই মামলাটি রেলওয়ে থানার ওপর চাপানো হয়েছে। এর ফলে এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার ব্যহত হবে বলেও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে রেলওয়ের সার্কেল এসপি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুই ছাত্র হত্যা মামলার মতো আসাদুজ্জামান হত্যা মামলাও সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলে জনিয়েছেন রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আব্দুর রব। দিনের পরের দিকেই এ বাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭:২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১০