ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিধিমালায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার সান্ধ্যকালীন কোর্স, পেশাদার বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না।
ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে যারা স্নাতক, মাস্টার্স বা এমফিল প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত এবং আবাসিক হলে অবস্থানরত বা সংযুক্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীরাই কেবল কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন।
ডাকসুর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার যুক্ত করা হয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ ও লালন করার অঙ্গীকার। পাশাপাশি বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের ইতিহাসে সংগঠিত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনাকেও প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়েছে।
নির্বাচন পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এসেছে। এবারের ডাকসু নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন একজন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা, যিনি সর্বোচ্চ ১০ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন। প্রতিটি আবাসিক হলে অথবা ক্যাম্পাসের উপযুক্ত স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট হলে নির্ধারিত বুথে ভোট প্রদান করবেন।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর তিন কর্মদিবসের মধ্যে আপত্তি জানানো যাবে এবং তা উপাচার্যের কাছে দাখিল করতে হবে। এই বিষয়ে উপাচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে বলেও জানানো হয়।
হালনাগাদ করা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন করে চারটি সম্পাদকীয় পদ যুক্ত হয়েছে। পদগুলো হলো-গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক।
এফএইচ/এসআইএস