জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগের এক পক্ষের চার কর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় অপরপক্ষের ১৩ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
হামলায় আহত ছাত্রলীগকর্মী আদেল আল নোমানের বাবা ফয়জুল কবীর বাদী হয়ে রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত ১টায় আশুলিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট ভোরে মওলানা ভাসানী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির সমর্থক নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় সাধারণ সম্পাদকের সমর্থক নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় ৪ ছাত্রলীগকর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার ও হল কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এ ঘটনার জেরে গত রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মওলানা ভাসানী হল শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতির পক্ষের কর্মীরা সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের কর্মীদের উপর হামলা চালায়।
এতে সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের আদেল আল নোমান, শান্ত কুমার নাথ, কিশোর দাশ ও মো. এখতে খায়রুজ্জামান সঞ্চয় আহত হন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত আদেল আল নোমান বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত রেঁনেসা হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তার পাজরের তিনটি হাড় ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া শান্ত কুমার নাথ ও কিশোর দাশ সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় আদেল আল নোমানের বাবা ফয়জুল কবীর বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ছয় নেতা ও সাত কর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ১০ জনকে আসামি করে রাতেই আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, মোর্শেদুর রহমান আকন্দ, সহ-সম্পাদক মেহেদী হাসান, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. দিদার হোসেন, উপ-মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এস. এম. ফিরোজুর রহমান, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃতকর্মী ও ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আরিফুল ইসলাম এবং আইন ও বিচার বিভাগের মুস্তাকিম ইসলাম, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের তারেক হাসান, চয়ন, জহির এবং দ্বিতীয়বর্ষের সোহেল ও জাকির।
ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকায় ছিলাম। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কে বা কারা মারধর করেছে তাও আমি জানি না। হয়রানি করার জন্যই মামলা করা হয়েছে। ’
মামলার বাদী ফয়জুল কবীর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৪