জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের ৫টি উপজেলার ৩৫৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টি বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক ছাড়াই চলছে পাঠদান। ফলে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।
জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৩৫৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টি প্রধানশিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে।
এর মধ্যে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ১০টি, পাঁচবিবিতে ৪টি, কালাইয়ে ১৩টি, ক্ষেতলালে ৫টি ও আক্কেলপুর উপজেলায় ৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় প্রধানশিক্ষক শুন্যপদের বিদ্যালয়গুলো হলো- কল্যাণপুর, পশ্চিম সুন্দরপুর, থিয়ট, বাঁশকাটা, মাঝিপাড়া, মুরালীপুর, বাকিলা, দাদড়া, সগুনা ও বানিয়াতৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পাঁচবিবি উপজেলার ঢাকার পাড়া, কুয়াতপুর, নওগাঁ কাঠালী ও ছাতিনালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কালাই উপজেলার বিদ্যালয়গুলো হলো- কুসুমসাড়া, বিয়ালা, মাত্রাই, বেজখন্দ, বাশুরা, তেলিহার, তালোড়া বাইগুনী, বিনাইল, মহেশপুর, মোলামগাড়ী, বাখড়া, সমশিরা ও বামনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ক্ষেতলালের ছোটতারা, বড়তারা, নাছিরপুর দৌলতগাজী, গোলাহার ও আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আক্কেলপুর উপজেলার লক্ষিভাটা, শ্রী কৃষ্ণপুর, মোহনপুর, করমজী, মারমা, কুন্ডুরিয়া, কালাঞ্জ ও নারিকেলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধানশিক্ষক নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জয়পুরহাট জেলা শাখার সভাপতি আবু কালাম আজাদ বলেন, উচ্চ আদালতে মামলা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শুন্য রয়েছে। তবে শিগগিরই এ সমস্যা সমাধানে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এগিয়ে আসবেন বলে তাদের আশাবাদ।
৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক শুন্যপদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর ইসলাম বলেন, সরকারি সার্কুলারের মাধ্যমে এসব শুন্যপদে পর্যায়ক্রমে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৪