রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ৮ম দিনের মতো আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ক্যাম্পাসে মানববন্ধনও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক সমিতির দাবি মেনে না নিয়ে চলমান আন্দোলন ‘বানচাল’ চেষ্টার প্রতিবাদে ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বেরোবিতে এ আন্দোলন কর্মসূচি চলছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে মানববন্ধন শেষে ক্যাম্পাসে র্যালি বের হয়। একই দাবিতে রোববার (৩০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সমাবেশ করবে শিক্ষক সমিতি।
সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া ও শিক্ষক সমিতি প্রদত্ত বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ-অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নেন। এসময় শিক্ষকরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবী’র ‘স্বেচ্ছাচারী’ আচরণের জন্য সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শিক্ষকরা অবিলম্বে শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের আন্দোলন ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য উপাচার্য বিভিন্ন অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন।
কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সাইদুল হক, সাধারণ সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মন, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফেরদৌস রহমান, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এইচএম তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
শিক্ষক সমিতি এসব দাবিতে ২৭ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, অর্থ কমিটি এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক ও একাডেমিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪