ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রশ্ন ফাঁস: ফেসবুক ‘চক্র’ অধরা!

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪
প্রশ্ন ফাঁস: ফেসবুক ‘চক্র’ অধরা!

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি, আবার কখনও সাজেশন আকারে ফাঁস করা হচ্ছে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। আর তাই তো পরীক্ষার আগের রাতে পড়ার টেবিলে নয়, তার চেয়ে পরীক্ষার্থীদের মনোযোগ থাকে ফেসবুকে।

এতে শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই ‘ক্রিমিনাল’ হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন ফাঁস করা এই চক্রকে চিহ্নিত করতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। এই চক্রকে চিহ্নিত করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমামানের পরীক্ষা নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সভায় শিক্ষাসচিব, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিজি প্রেস, র‌্যাব, পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি শেষ হওয়া জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা ছাড়াও চলমান প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে। আর মুহূর্তের মধ্যেই তা পরীক্ষার্থীরা লুফে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

শিক্ষাবিদ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক নিবন্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া প্রমাণ তুলে ধরে অভিযোগ করেন, এভাবে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ে বাচ্চাদের ‘ক্রিমিনাল’ বানানো হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধির পক্ষ থেকে জানানো হয় বিটিআরস’র মাধ্যমে ওয়েবপেইজে যেসব আইডি থেকে প্রশ্নপত্র পোস্ট করা হচ্ছে তা চিহ্নিত করা গেলে তাদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তারা।

প্রশ্ন ফাঁসের খবর পেলে সেটিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় বলেও জানান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

কিন্তু বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে ফেসবুকের এসব অনাকাঙ্ক্ষিত আইডিধারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার প্রযুক্তি নেই। এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগ ব্যবস্থা নিতে পারে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ফেসবুকের সে সব আইডি শনাক্তের প্রযুক্তি না থাকার কথা স্বীকার করে বিটিআরসি।

সংস্থার সিনিয়র সহকারী পরিচালক কাজী মাহমুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এসব বিষয়ে গুগল এবং ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছেও এসব চক্রকে ধরার এমন প্রযুক্তি নেই বলে দাবি তার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে আবারো এসব আইডি শনাক্তের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজনে পরীক্ষার সময় ফেইসবুক বন্ধ রাখা যায় কি-না, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।