ইবি (কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে ছাত্রদলের কর্মী সন্দেহে সৈকত নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী।
পরে, তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
লাইব্রেরির কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা জানান, বুধবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর তৃতীয় তলায় সজিব ও সৈকত নামে দুই শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছিলেন।
সেখানে পাশেই ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী নিশান, জনিসহ কয়েকজন মোবাইলে গান বাজাচ্ছিলেন। সজিব তাদের নিষেধ করলে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় তিনি সেখানে এগিয়ে গেলে সজিব তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।
একপর্যায়ে ঘটনাটি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানতে পেরে লাইব্রেরিতে চলে আসেন। এ সময় লাইব্রেরির প্রধান ফটকে তালা লাগানো থাকায় সেখানে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে প্রক্টর ড. টি এম লোকমান হাকিম ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সহ সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু, সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাশ নেতাকর্মীদের শান্ত করেন।
পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ইবি থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) ইকবাল ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী লাইব্রেরির ভেতরে ঢুকে তল্লাশি চালান। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা সৈকতকে পেয়ে মারধর করেন। পরে, ছাত্রলীগ সভাপতি সৈকতকে উদ্ধার করে পুলিশে দেন।
এ বিষয়ে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শোকের মাসে ছাত্রদল কর্মীরা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। নেতাকর্মীরা জানতে পেরে তাদের একজনকে আটক করেছে। পরে আমরা তাকে পুলিশে দিয়েছি।
ইবি ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, সৈকত ছাত্রদলের কেউ নয়।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চৌধুরী সফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আটক শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে ছাত্রদলের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৫
এমজেড/