ঢাকা: প্রতিবছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হয় না। এর কারণ হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কম অংশগ্রহণকে চিহ্নিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এর ধারা ৩১ ও ৩৬ বাস্তবায়ন: প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভর্তির আরো সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে।
উপাচার্য বলেন, আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। আমাদের কোনো একটি ইন্দ্রিয় কম কাজ করে। যাদের একটি ইন্দ্রিয় কম কাজ করে, অন্য ইন্দ্রিয়গুলো সংবেদনশীল হয়।
এ কারণে ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটির বিরোধিতা করে তিনি বলেন, আর্থিক সমস্যার কারণে অনেক সময় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিন্ধীদের সব সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান সংক্রান্ত আইনের ৩১ ধারা এবং বৈষম্য নিষিদ্ধকরণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদান সংক্রান্ত ৩৬ নম্বর ধারা কার্যকরের লক্ষ্যে অবিলম্বে গেজেট প্রকাশ করা, আইন বাস্তবায়নে বিধিমালা প্রণয়ন, কমিটি গঠন ও কার্যকরের সুপারিশ করা হয়।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটউটের অধ্যাপক শারমিন হক, অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন মজুমদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
এমএন/এএ