ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো সংক্রান্ত প্রকাশিত গেজেটের পর্যালোচনা এবং অর্থমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাতে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ কামাল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, ৬ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে শিক্ষক প্রতিনিধিদের এক সাক্ষাতের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোর অনুরূপ সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখার সুস্পষ্ট আশ্বাস দিয়েছিলেন।
এছাড়া কোনোভাবেই সপ্তম বেতন স্কেলে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা না কমানোসহ সিনিয়র সচিবদের মত সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একটি অংশকে সুপার গ্রেডে উন্নীত করা হবে মর্মে আশ্বাস দিয়েছিলেন।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতন সপ্তম গ্রেডে সম্ভব না হলে ন্যূনতম অষ্টম গ্রেড থেকে শুরু হবে মর্মেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
‘কিন্তু আমরা পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি উল্লেখিত প্রথম দুটি প্রতিশ্রুতির সম্পূর্ণ বরখেলাপ এই বেতন কাঠামোতে করা হয়েছে। ’
এমতাবস্থায় চলতি সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উপরে উল্লেখিত দুটি প্রতিশ্রুতি পূরণসহ অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সব অসঙ্গতি দূরীকরণের দাবি জানানো হয়েছে।
অন্যথায় এহেন কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য শিক্ষক সমাজ দায়ী থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় অধ্যাপকদের সিনিয়র সচিবদের পর্যায়ে নামিয়ে আনারও তীব্র সমালোচনা করেছে ঢাবি শিক্ষক সমিতি।
‘পরিতাপের বিষয় যে, জাতীয় অধ্যাপকদের সিনিয়র সচিবদের পর্যায় এনে এই বরেণ্য ব্যক্তিদের যেমন অপমান করা হয়েছে, অন্যদিকে তাদের পে-রুলে আনার এই প্রচেষ্টার মধ্যদিয়ে জাতীয় বেতন কাঠামোকে করা হয়েছে বিতর্কিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
এসএ/এসএইচ