ঢাকা: শিক্ষা আইনে কোচিং-ভর্তি বাণিজ্য বন্ধে কঠোর আইন রাখার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে ‘সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার’ গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ দাবি জানান।
সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার এম আমীরুল ইসলাম, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু, আবুল কালাম আজাদ, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, উম্মে রাজিয়া কাজল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কোচিং ও ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ করা যাচ্ছে না। এজন্য শিক্ষা আইনে কঠিন ও কঠোর আইন থাকতে হবে। খসড়া শিক্ষা আইন ২০১৪ আবারও ওয়েবসাইটে দিতে হবে।
তারা বলেন, বাজেটে ক্রমশ শিক্ষার বরাদ্দ কমছে। এটা বরাদ্দ না ধরে বিনিয়োগ হিসেবে করতে হবে। কারণ আমরা এ থেকে লাভ তুলতে পারবো। এজন্য এখানে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
শিশুদের পড়াতে হলে একজন শিক্ষককে অভিনেতা, খেলোয়াড়, আবৃত্তিকারকসহ নানা সময় নানা বৈশিষ্ট্যের হতে হয়। এটা কঠিন চাকরি। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন সবার চেয়ে বেশি হওয়া উচিত।
এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টয়লেটসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন বক্তারা। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও উপবৃত্তি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে, সে অনুযায়ী আমরা হয়তো পিছিয়ে। কিন্তু ধীরে ধীরে এগুচ্ছি। আগের তুলনায় আমাদের শিক্ষার অবস্থা অনেক ভালো।
সেভ দ্য চিলড্রেন এবং পার্লামেন্টারি ককাস অন চাইল্ড রাইটস (পিসিসিআর) যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় আলোচনা পত্র উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলেড্রেনের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক তালাৎ মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
এসইউজে/জেডএস