ইবি: অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে বেতন গ্রেড নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত এ আন্দোলনে সাড়া দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকবৃন্দও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছেন।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন মঙ্গলবারও (১২ জানুয়ারি) অব্যাহত রয়েছে।
এদিনও কোনো বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসেই আসেননি। এছাড়া প্রশাসনিক ভবনের কার্যক্রমেও রয়েছে স্থবিরতা। হিসাব, জনসংযোগসহ কয়েকটি বিভাগে কার্যক্রম চললেও অধিকাংশ বিভাগে তেমন কোনো কার্যক্রম চলছে না বলে জানা গেছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ার কাজে প্রতিদিন কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও শৈলকুপা থেকে ৫৫টি গাড়ি যাতায়াত করে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে এসব পরিবহন স্ব স্ব রুট থেকে নিয়মিত যাত্রীশূন্য যাতায়াত করছে। আন্দোলনে ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় ক্যাম্পাসে আসছেন না অধিকাংশ শিক্ষক, শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষকই ক্যাম্পাসে আসেননি।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সংখ্যা একেবারে নেই বল্লেই চলে। ফলে অধিকাংশ গাড়িই ফাঁকা ক্যাম্পাসে আসছে। আবার ক্যাম্পাস থেকে ফেরার সময়ও গাড়িগুলো ফাঁকাই যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ও ভাড়া করা ছোট বড় মিলিয়ে এই ৫৫টি গাড়ি বাবদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয় বলে পরিবহন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
এ আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে না এলেও নিয়মিত চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ৫৫টি গাড়ি। যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।
এদিকে বেতন কাঠামো নিয়ে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে এমন মুখোমুখি আবস্থানের কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝেও বিরাজ করছে চরম হতাশা।
বছরের অধিকাংশ সময়ে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সংর্ঘষ, পরিবহন ধর্মঘট, আন্দোলনসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে। বিগত ৫-৬ মাস ধরে স্বাভাবিক নিয়মে কার্যক্রম চলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জটের মাত্রাও কমে এসেছিল অনেকাংশে। ঠিক এ মুহুর্তে আবারো শিক্ষক আন্দোলনের ফলে পুনঃরায় বড় ধরনের সেশন জটে পড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ ভেদে এমনিতেই ৬ মাস থেকে ২ বছরের সেশন জট রয়েছে। এ মুহুর্তে আমাদের শিক্ষকদের আন্তরিকতায় এ জট কিছুটা কমার স্বপ্ন দেখছিলাম। ঠিক সেই সময়ে আবারো শুরু হলো আন্দোলন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
আরএ