ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

যৌন নিপীড়ন ও লাঞ্ছনার ব্যবস্থা নিতে জাবি শিক্ষকের আবেদন

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
যৌন নিপীড়ন ও লাঞ্ছনার ব্যবস্থা নিতে জাবি শিক্ষকের আবেদন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: তিন ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন, নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার কাছে আবেদনপত্র জমা দেন।



মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গীতে ছাত্রলীগ কর্মী মো. আবু সাদাত সায়েম, জামশেদ আলম ও জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বহিরাগত কয়েকজন শিক্ষার্থীর বাকবিতণ্ডা চলছিলো। এক পর্যায়ে আমি দেখতে পাই আবু সাদাত সায়েমের হাতে একজন ছাত্রীর ওড়না এবং জামশেদ ও জাহিদুল একজন ছাত্রকে মারধর করছেন। এ সময় আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের (ছাত্রলীগ কর্মী) থামতে বললে তারা আমার উপর চড়াও হয়।

পরে তারা সমঝোতার নামে তারা আমাকে আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।

তিনি বলেন, ওড়না ধরে টানাটানিকে যৌন নিপীড়ন, বহিরাগত ছাত্রকে নির্যাতন ও আমাকে লাঞ্ছনার কথা উল্লেখ করে তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবার লিখিত আবেদন করেছি।

এদিকে ওই তিন ছাত্রলীগ কর্মী জানান, বহিরাগতরা আমাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করলে আমরা শুধু ছেলেটিকে কয়েকটি চড়থাপ্পড় দিয়েছি। মেয়ের সঙ্গে আমরা কোনো খারাপ আচরণ করিনি। এসময় ওই শিক্ষক আমাদের ‘শুয়োরের বাচ্চা’ বলে গালি দেওয়ায় আমরা তার পরিচয় জানতে চাই। শিক্ষক পরিচয় পাওয়ার পর আমরা কিছু বলিনি। পরে ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা বিষয়টি মীমাংসা করেন।

তবে প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, বহিরাগত ওই ছাত্রকে চড় থাপ্পড় দেওয়ার সময় তার সঙ্গে ঘুরতে আসা একজন ছাত্রী ঠেকানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে সেখানে ওড়না টানাটানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে একজন শিক্ষক সেখানে উপস্থিত হয়ে চড়থাপ্পড় দেওয়া বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু তারা (ছাত্রলীগ কর্মীরা) না থামায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ‘শুয়োরের বাচ্চা’ বলে গালি দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, আবেদনপত্র পাওয়ার পর আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে আমরা একটি জরুরি মিটিংও করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।