এই কমিটি ভুলগুলো সংশোধনী ছাড়াও নতুন বইগুলো পরিমার্জন করবে। আর ভুলের বিষয়ে দেবে সংশোধনী শিট।
এনসিটিবির সদস্য (অর্থ) কাজী আবুল কালামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান।
১ জানুয়ারি সারা দেশে উৎসব করে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বইগুলো হাতে পেয়ে ভুল ধরা পড়তে শুরু করে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে।
পাঠ্যবই ছাপানোর আগে পাণ্ডুলিপি জমা হয় এনসিটিবিতে। সেই পাণ্ডুলিপি যাচাই করে মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয়। কাজেই ভুলের দায় পড়ে এনসিটিবির ঘাড়ে।
বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রথম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ওড়না বিতর্ক’, ‘ছাগল গাছে উঠে আম খাচ্ছে’,- এমন বর্ণনা তৈরি করেছে সমালোচনার।
তৃতীয় শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই ‘আমার বই’তে কুসুমকুমারী দাশের কবিতা ‘আদর্শ ছেলে’র মূল লাইন ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’র শব্দ উল্টে দিয়ে সেখানে শব্দ বদলে দেওয়া হয়েছে।
মর্মবাণী প্রকাশ করতে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির হিন্দু ধর্মশিক্ষা বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ছাপানো হয়েছে ‘DO NOT HEART ANYBODY’, যার অর্থ দাঁড়ায় ‘কাউকে আঘাত দিও না’। হার্ট শব্দটি এখানে ভুল।
** প্রাথমিকের বইয়ে আঘাতের ইংরেজি Heart
** তৃতীয় শ্রেণির বইয়ে ‘আদর্শ ছেলে’ বিকৃতি, সমালোচনার ঝড়
**পাঠ্যবইয়ে ভুল: তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে এনসিটিবি
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ