রোববার (০৮ জানুয়ারি) দুপুরে খুবির শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
৯ জানুয়ারি (সোমবার) উপাচার্য হিসেবে তার নির্ধারিত চার বছর মেয়াদ শেষ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভিসি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এতদাঞ্চলের আপামর মানুষের আন্দোলনের ফসল এবং দেশের বধ্যভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ৠাকিংয়ে এক নম্বরে তুলে আনতেই হবে।
গত কয়েক বছর উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে আইকিউএসি এবং সিইটিএল’র মাধ্যমে শিক্ষকদের অব্যাহত প্রশিক্ষণ, কারিকুলাম আপডেট, কর্মশালা, সেমিনারের ব্যবস্থাসহ নানামুখি যে কর্মতৎপরতা চলেছে সে প্রেক্ষাপটে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন প্রচেষ্টায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রসর অবস্থানে রয়েছে।
উপাচার্য তার দায়িত্বকালে নতুন ৮টি ডিসিপ্লিন ও ১টি ইনস্টিটিউট চালু করা, ১০০ জন শিক্ষকের পদ আনা ও নিয়োগ, ৬৫ জন কর্মকর্তার আপগ্রেডেশন, ১২ জন কর্মকতার নতুন পদে নিয়োগ, ৮৩ জন কর্মচারী নিয়োগের কথা উল্লেখ করে বলেন, সব নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পূর্ণ হয়েছে, কোনো অনিয়ম দুর্নীতি প্রশ্রয় পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সবক্ষেত্রের বিকাশে তিনি আন্তরিকভাবে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, ১৮৮ কোটি টাকার যে নতুন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে তার বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে কাজ শেষে হলে আগামী ১৫ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত স্বল্পতা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দুর্নীতি বন্ধ না হলে তা হবে হতাশাজনক। কারণ সবচেয়ে শিক্ষিত শ্রদ্ধেয় মানুষ এখানে কাজ করেন। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মানুষ গড়ার জায়গা, স্বপ্ন দেখার জায়গা, গবেষণার জায়গা, বহুমত লালন ও চর্চা কেন্দ্র।
তিনি শান্তিপূর্ণভাবে তার মেয়াদ শেষ করতে পারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ খুলনার সব শ্রেণির মানুষ এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালো অবস্থানে রেখে যাচ্ছি এখন সামনে আরও এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমানও বক্তব্য রাখেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিটিভি প্রতিনিধি মকবুল হোসেন মিন্টু, ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএসএস ব্যুরো প্রধান এস এম জাহিদ হোসেন, ক্লাবের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক চ্যানেল ২৪ ও সমকাল ব্যুরো প্রধান মামুন রেজা, দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার অমল সাহা, দৈনিক প্রবাহের বার্তা সম্পাদক শাহ আলম,বৈশাখী টেলিভিশনের খুলনা প্রতিনিধি মল্লিক সুধাংশু, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর ব্যুরো এডিটর মাহবুবুর রহমান মুন্না, আলোকিত বাংলাদেশ খুলনা প্রতিনিধি মুহাম্মদ নুরুজ্জামান প্রমুখ।
সাংবাদিকরা বলেন, উপাচার্য হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব সমাপ্ত করা, বিশ্ববিদ্যালয়কে সুন্দর পরিবেশে রাখা, সবাইকে নিয়ে চলার মতো কৃতিত্বপূর্ণ অবদান অতীতে কোনো উপাচার্য কখনও রেখে যেতে পারেননি। আপনার সময়কাল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হয়ে থাকবে।
তারাও তাদের পেশাগত কাজে সহযোগিতার জন্য উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এসময় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
এমআরএম/জেডএস