চাবি পাওয়ার পর শিক্ষকদের দু’টি মাইক্রোবাস ব্যবহার শুরু হলেও ‘সিদ্ধান্তহীনতার টানাপোড়েন’ শুরু হয় শিক্ষার্থীদের বাস দু’টি নিয়ে। সে দু’টি বাস শিক্ষকরা ব্যবহার করবেন, নাকি শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে তা ঠিক করতেই কর্তৃপক্ষ কাটিয়ে দেয় প্রায় দু’মাস! অবশেষে রোববার (৮ জানুয়ারি) রাস্তায় নামে বাস দু’টি। কিন্তু শিক্ষকদের পরিবহনে। আর দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য গছিয়ে দেওয়া হয় পুরনো বাস দু’টি।
শিক্ষকদের ব্যবহারে বাস দু’টি দিয়ে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে তাদের মধ্যে। বলছেন, পর্যাপ্ত আবাসন আর পরিবহনের জন্য শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন, তাতে দৃষ্টি আকর্ষণ হলে অনেক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসে উপহার দেন, আর ‘লাভের গুড়’ বাগিয়ে নেন কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের জন্য ৫৪ সিটের বাস দু’টি শিক্ষকদের ব্যবহারে দেওয়া হলেও তাদের যে ব্যবহৃত ও পুরনো বাস গছিয়ে দেওয়া হয়েছে তা কম সিটের, তা-ও ক্যাম্পাস থেকে মোহাম্মদপুর এবং মিরপুর রুটে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া মেঘনা গ্রুপের বাস গত দু’মাসে চালু না করে তা আজ শিক্ষকদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে ভাঙা ও পুরনো বাস দু’টি। শিক্ষকদের তো মাইক্রোবাস দেওয়াই হয়েছে, তারা আবার কেন আমাদের বাস নিয়ে যাবেন?”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, “কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে মেঘনা গ্রুপ থেকে প্রাপ্ত দু’টি বাস শিক্ষকদের যাতায়াতের জন্য ও শিক্ষকদের ব্যবহৃত দু’টি বাস শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে। ”
এ অদল-বদল সম্পর্কে যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “শিক্ষকরা পুরনো বাসে যাতায়াত করবেন, আর শিক্ষার্থীরা নতুন বাসে যাতায়াত করবেন, তা যুক্তিসংগত নয়। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের দু’টি বাস অদল-বদল করেছি। ”
বাংলাদেম সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
ডিআর/এইচএ/
আগের খবর
মেঘনা গ্রুপের পক্ষ থেকে জবি পেল বাস ও মাইক্রোবাস