বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব কথা বলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ‘মনিটরিং ইভালুয়েশন উইং’ এ কর্মশালা আয়োজন করে।
দিনব্যাপী এ কর্মশালা শুরু হয় সকাল ৮ টায়। বিকেল ৩ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি টি এম আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ এবং কর্মশালার ওপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং’র পরিচালক ড. মো. সেলিম মিয়া।
কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে গ্রুপভিত্তিক ফলাফল উপস্থাপন করেন ১৩টি গ্রুপের গ্রুপপ্রধানরা।
গ্রুপভিত্তিক ফলাফল উপস্থাপনের পর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব কিছু দেখে-শুনে মনে হলো- শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য আপনাদের সব আয়োজন-পরিশ্রম। কিন্তু অনেকেই বলছেন শিক্ষার মান কমে গেছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার মান হিসেবে আমরা কোনো দেশের মানটাকে ধরবো, সেটা কেউ বলে দিচ্ছে না। আমরা চাইলেই তো ইউরোপ-আমেরিকার মানে যেতে পারবো না। আমরা ধীরে ধীরে এগোচ্ছি।
আপাতত আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সব শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসা, নারী-পুরুষের সমতা বিধান এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন। এখন যে অবস্থায় আছে, তার থেকে অনেক উপরে উঠলেও শোনা যাবে, মানের আরো উন্নয়ন করতে হবে।
তবে আমরা কারও মতকে অশ্রদ্ধা করছি না। সবার মতামত, সমালোচনা, যুক্তি, পরামর্শ নিয়ে সামনে এগোতে চাই। শুধু একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, শুধু সমালোচনা নয়, শিক্ষার্থীদের উৎসাহও দিতে হবে। নইলে তারা হতাশ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এজেড/ওএইচ/আরআই