মঙ্গলবার ( ১৭ জানুয়ারি ) থেকে কবি জসীম উদদীন হল ও শহীদুল্লাহ হলে এক সপ্তাহ ধরে সংযোগ বন্ধ রয়েছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা । এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দুই হলের শত শত শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ হলে কেএস নেটওর্য়াক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার নামে একটি ‘ব্রডব্যান্ড’ ইন্টারনেট কোম্পানি ক্যাম্পাসের ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে।
সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, কবি জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেএস নেটওয়ার্কের কাছে মাসিক নির্দিষ্ট কমিশন দাবি করে। তাদের দাবি না রাখায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিতে বলে নেতারা। পরে কেএস নেটওর্য়াক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।
এ বিষয়ে কেএস নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের কথা চিন্তা স্বল্প মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছি। কিন্তু জসীম উদদীন হলে নতুন কমিটি আসার পর কমিশন দাবি করছে। এরপর মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। ’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘হলের অনেকেই কেএস নেটওর্য়াক ফ্রি ব্যবহার করাতে তাদের সার্ভিস ভালো ছিল না। ক্যাম্পাসে নতুন আরেকটি ইন্টারনেট সংযোগ আসায় তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাদের হল আবেদন করে প্রশাসন থেকে অনুমতি নিতে বলেছি । ’
কমিশন দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, নতুন সংযোগ শনিবার থেকে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সভাপতি আরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি হলের বাইরে আছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ’
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘কেএস নেটওয়ার্ক কার অনুমতি নিয়ে হলে সংযোগ দিয়েছে, বন্ধ করেছে আমি দেখতেছি। এ ধরনের সংযোগ রাখা যাবে না। হলে তো আমাদের নিজস্ব ওয়াইফাই সংযোগ রয়েছে। ’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ( ঢাবি) সভাপতি আবিদ আল হাসান খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
অপরদিকে শহীদুল্লাহ হলে সংযোগ বন্ধের বিষয়কে কারিগরি ক্রটি বলে উল্লেখ করেছে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। এমনকি ছাত্রলীগ কমিশন দাবি করেনিও বলে জানান হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
এসকেবি/ওএইচ/