শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তারা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে দুই শিক্ষার্থীকে আটকের বিষয়টি জানান।
পরীক্ষা চলাকালীন প্রবেশপত্রে থাকা ছবির সঙ্গে চেহারার মিল না থাকায় শুল্ক গোয়েন্দারা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। পরে সত্যতা স্বীকার করায় দু’জনকে বহিষ্কার ও আটক করা হয়।
আটক দু’জনের একজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান তৃতীয়বর্ষের ছাত্র উত্তম কুমার রায়। তিনি দিনাজপুরের কাহারোল বুলিয়া বাজার, বনগাঁও এলাকার নারায়ন চন্দ্র রায়ের ছেলে।
আরেকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফিন্যান্স বিষয়ে এমবিএ অধ্যয়নরত মো. শাহজালাল।
জিজ্ঞাসাবাদে উত্তম জানান, প্রকৃত পরীক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাংগি উপজেলার লাহিড়ী সাহবাজপুর গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে আবু সালেহ মো. রায়হান।
আবু সালেহ মো. রায়হান সিপাহী পদে আবেদন করেন। তার স্থলে উত্তম কুমার রায় ৮ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে প্রক্সি দিতে এসেছিলেন।
মো. শাহজালাল নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী সদর উপজেলার ফতেহপুর নূর জাহান মঞ্জিলের মো. আবুল কালামের ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে মো. শাহ জালাল জানান, তিনি সিপাহী পদে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী যাদুর চর বকনান্দা নামাপাড়া এলাকার মো. মনিরুজ্জামানের ছেলে মো. আইন উদ্দিনের স্থলে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। তিনি হলের সিনিয়র ভাইয়ের চাপে বাধ্য হয়ে প্রক্সি দিতে এসেছেন বলে জানান।
সিপাহী পদে নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা এসএসসি পাস। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দু’জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
আরইউ/এএ