রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবন, টিচার্চ ক্যাফেটেরিয়া ও রেভ্যুনাস প্লাস নামের তিনটি ক্যান্টিনই বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে জবি সংসদ ছাত্র ইউনিয়ের পক্ষ থেকে ক্যান্টিনের খাবার মান বৃদ্ধি ও দাম কমানোর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্বলতা, তদারকির অভাবে ক্যান্টিন মালিকরা যখন যেভাবে খুশি সেভাবে ক্যান্টিন পরিচালনা করছেন। ডিমের দাম ১২ টাকা, খিচুড়ির দাম ৩০ টাকা, যা অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেশি। খাবারও অস্বাস্থ্যকর। তেহারির দাম ৪০ টাকা, ইদানিং খিচুড়ির তুলনায় তেহারি লাভজনক হওয়ায় তেহারি আইটেমটি বেশি চলছে। তেহারি আবার রান্না করা হয় সেটা চাল নয়, ক্ষুদ দিয়ে।
এর আগে গত ৪ জানুয়ারি জবি ক্যান্টিনের অব্যবস্থাপনা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে ‘শিক্ষার্থীদের ক্যান্টিনে নজর নেই জবি প্রশাসনের!’ শিরোনামে বাংলানিউজে একটি সংবাদও প্রকাশিত হয়।
নোটিশ ছাড়াই ক্যান্টিন বন্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইতিহাস বিভাগের মাহমুদ হাসান বাংলানিউজকে অভিযোগ করে বলেন, সকাল আটটায় আমাদের ক্লাস ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে গাজীপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। প্রতিদিনের মতো আজও ক্যান্টিনে নাস্তা করতে যাই। গিয়ে দেখি তিনটি ক্যান্টিই বন্ধ। বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ক্লাসের ফাঁকে নাস্তা করেছি।
একই অভিযোগ করে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস করছি। প্রথম দুদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে সকালের নাস্তা করেছি। নতুন শিক্ষার্থী হওয়ায় বিকল্প ক্যান্টিন খুঁজতে আমাদের আরামবাগ হোটেলে খেতে হয়েছে। তবে এখানকার খাবারের দাম অনেক বেশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবকাশ ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রিত ক্যান্টিনের পরিচালক আমজাদ হোসেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মৌখিকভাবে ক্যান্টিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কী কারণে বা কে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জবির প্রক্টর অফিসের কাজী মনির স্যার মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন।
ক্যান্টিনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমার দফতর থেকে ক্যান্টিন বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
জবি অবকাশ ভবনের ক্যান্টিন পরিচালক আমজাদ হোসেনের বরাত দিয়ে প্রক্টর কার্যালয়ের কাজী মনিরের ক্যান্টিন বন্ধ করার এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম বলেন, না। এ নির্দেশনা মনির দিতে পারেন না। তিনি ক্যান্টিনের কেউ না । আমি তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইব কেন তিনি এ নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে কাজী মনিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
ডিআর/এমজেএফ