ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এসএসসিতে বসছে ১৭ লাখ পরীক্ষার্থী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৭
এসএসসিতে বসছে ১৭ লাখ পরীক্ষার্থী

ঢাকা: আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি)।

এবার মাধ্যমিক স্তরের এই পরীক্ষায় ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে, যা গত বছরের তুলনায় এক লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন বেশি।

প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে সাধারণ বোর্ডে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংষ্কৃতি, মাদ্রাসা বোর্ডে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


 
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকাল সাড়ে নয়টায় গভ. ল্যাবরেটরি বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনে যাবেন।
 
পরীক্ষা উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুরুতে এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে নয়টায় শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে হবে। নয়টা ৩৫মিনিটে উত্তরপত্র দেওয়া হবে।
 
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়ে তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হবে ২ মার্চ। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা শনিবার (৪ মার্চ) থেকে শনিবার (১১ মার্চ) শেষ হবে।
 
এবার ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশে কেন্দ্র রয়েছে আটটি, যেখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৪৬ জন।
 
আটটি সাধারণ বোর্ডে এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ২ হাজার ২৯৯ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা সাত লাখ ২৩ হাজার ৬০১ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৫৬ হাজার ৫০১ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে (ভোকেশনাল) এক লাখ চার হাজার ২১২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
 
গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৬১ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও এবার এক লাখ ৩৫ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী বেড়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ।

মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার ছাত্রের সংখ্যা নয় লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা আট লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন।
 
এবার এসএসসিতে বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
 
এ বছর হতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা নামে দুটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
 
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরণের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।
 
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
 
শিক্ষা বোর্ড সমূহের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থা চালু রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এর ফলে কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে।
 
পরীক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে নিশ্চিত করতে সবার স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্র সচিবদের স্মার্টফোন আনতেও নিষেধ করেছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।