শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ডা. আব্দুল আলীমকে এক কর্মচারীর হাতে লাঞ্ছিত হওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
দফায় দফায় এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আট/নয়জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির সভাপতি শামস সাদ ফকরুল বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকদের উস্কানিতে একদল শিক্ষার্থী এসে আমাদের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিতে গেলে তারা সংগঠিত হয়ে আবারও এসে আমাদের ওপর হামলা করে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় তারা কর্মকর্তাদের প্রায় ৫০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সুরহা করার চেষ্টা করছি। তবে আমাদের ১২/১৩ জন আহত হয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে একজন সম্মানিত শিক্ষকের গায়ে হাত তুলেছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষক লাঞ্ছনার কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু কর্মচারীরা আমাদের ওপর হামলা করলে এ খবর পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের প্রক্টর আওয়াল কবির জয় বাংলানিউজকে বলেন, দু‘পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকের আহবান করা হয়েছে। বৈঠকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। বিচারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আজকের জন্য কর্মসূচি সমাপ্ত করেছে বলে দাবি করেন প্রক্টর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
আরবি/