বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার কক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নারী ও ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর অধিকার সমর্থন নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগ ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে এখনো নারীর অধিকার ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কথা বলতে হয়। এর কারণ হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। বাংলাদেশে এখনো অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এখনো তৈরি হয়নি। এজন্য আইন দিয়ে বৈষম্যটা কমিয়ে আনার চেষ্টা হবে, অর্থনৈতিক কর্মসূচি ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সাংবিধানিকভাবে টেনে তোলার জন্য বিশেষ রাষ্ট্রীয় ভূমিকা আমরা গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, এসব কর্মসূচির সাথে সমান্তরাল ভাবে একটি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে। এটি যদি আমরা পরিচালনা না করি তাহলে কিন্তু একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ সার্বিকভাবে তৈরি হবে না। এই ধরনের সমাজ যদি তৈরি না হয় তাহলে একটি উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠবে না। যেমন বাংলাদেশ পঁচাত্তরের পরে হোঁচট খেল। এখনো হোঁচটের মুখে আছে।
টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূইয়া, ইউএনডিপির টেকনিক্যাল কর্মকর্তা শর্মিলা রসুল, মাইনরিটি এক্সপার্ট শংকর পাল, জেন্ডার এক্সপার্ট বিথিকা হাসান, চলচ্চিত্র নির্মাতা হায়দার রিজভী প্রমুখ।
দুইদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী অগ্রযাত্রায় বাধা নিয়ে তিনটি শর্ট ফিল্ম প্রদর্শনী করা হয়। এছাড়া একই বিষয় নিয়ে কার্টুন, ফটোগ্রাফির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এসকেবি/আরআই