মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) নতুন প্রশ্নপত্রে সকাল ১০টা থেকে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে প্রশপত্র ফাঁসের কারণে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূলহোতা মুন্সীগঞ্জ শহরের ইদ্রাকপুর ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী শামীমকে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন বালা বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। এছাড়া প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে জেলা প্রশাসকের ভূমিকা ছিল। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কঠোর নিরাপত্তায় পরীক্ষা শেষ হয়।
মুন্সীগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্রা মো. ইউনুচ আলী বাংলানিউজিকে জানান, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একদিনের রিমান্ডে সোমবার মুন্সীগঞ্জ কারাগার থেকে শিক্ষক ফারিয়া সুলতানা ও কাকলী আক্তার, কলেজছাত্র আরিফ হোসেন, তার স্ত্রী শম্পা আক্তার এবং পিয়ন রাসেলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এই ৫ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
টিএ