ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

শর্ত পূরণে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
শর্ত পূরণে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ অন্যরা/ছবি-কাশেম হারুন

ঢাকা: যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নূন্যতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি, যারা এখনো নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার তাগিদ দেন।
 

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জা‌তিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইউ‌নিভা‌র্সি‌টির (বিইউ) দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।

এদিন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপ‌তি মো. আব্দুল হা‌মিদের প্র‌তি‌নি‌ধি হিসেবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম না‌হিদ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়।
 
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিইউ’র উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক শরীফ। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ব‌বিদ্যালয়ের ইমে‌রিটাস অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউ‌দ্দিন। এছাড়া বিশেষ অ‌তি‌থি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর ক‌বির নানক ও বিইউ’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার।  
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সব শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা ও সব সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। কিন্তু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো তাদের নূন্যতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশিদিন চলতে পারবে না।
 
তিনি বলেন, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সফল হতে পারেনি, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পরিবেশ ও নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, যারা নিজস্ব ক্যাম্পসে এখনো যায়নি, যারা একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান পরিচালনা করছে, তাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত চাপ রেখেও সঠিক ধারায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।
 
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল এ বিশ্ববিদ্যালয় হবে ভবিষ্যতে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মডেল। শুধু উচ্চশিক্ষা নয় এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায়ও অসামান্য অবদান রাখছে।

সমাবর্তনে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থীদের উল্লাস 
তিনি বলেন, আমরা সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না। তারা সবাই আমাদের সন্তান, জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সবার জন্যই আমরা মানসম্মত শিক্ষা এবং সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যারা ভালো কাজ করছে, দেশের জন্য কাজ করছে, তারা অবশ্যই অনুকরণীয় হবে এবং সরকার তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
 
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তন  হয় ২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। প্রথম সমাবর্তনে ১ হাজার ২২৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এবার দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ১০ বিভাগে ৪ হাজার ৮০৪ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৫১০ জনকে স্নাতক ও ১ হাজার ২৯৪ জনকে স্নাতকোত্তর সনদ দেওয়া হয়।  

এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো ফলের জন্য একজনকে আচার্যের স্বর্ণপদক, একজনকে বিইউ’র প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম উপাচার্য কাজী আজহার আলী স্বর্ণপদক এবং একজন বিদেশি শিক্ষার্থীসহ জনকে উপাচার্য  স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগে ভালো ফলাফল অর্জন করায় ১৩ জনকে ডিনস পদক দেওয়া হয়।
 
২০০১ সালে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু হয়। আগামী বছর থেকে মোহাম্মদপুরে আদাবরে নিজস্ব ক্যাম্পাসে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সংখ্যা ৩টি ও বিভাগ রয়েছে ১০টি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।