ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নকলের মহোৎসব, খাতা পোড়ালেন ডিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নকলের মহোৎসব, খাতা পোড়ালেন ডিন

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠিত কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রকাশ্য নকলের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে খাতা পুড়িয়ে ফেলেছেন কলা অনুষদের ডিন ও সঙ্গীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড.মোশাররফ শবনম। 

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ভবনে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার পর এ খবর জানাজানি হওয়ার পর শুরু হয় তোলপাড়।

 

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ‘লোক সঙ্গীত’ বিষয়ের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের ১০ মার্কসের মিডটার্ম পরীক্ষায় প্রকাশ্য নকল করেন অংশ নেওয়া সাত পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার হলে না নিয়ে তাদের ডিন অফিসে নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক সাদমান তাহারীফ প্রত্যয়ের উপস্থিতিতে এ সময় প্রকাশ্যে নকলের মহোৎসব শুরু হলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন বিভাগীয় প্রধান ও ডিন মোশাররফ শবনম। তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে এসে নকলের এমন উৎসব দেখতে পেরে ক্ষুব্ধ হন। পরে তিনি এসব পরীক্ষার্থীদের খাতা পুড়িয়ে ফেলেন।  

ডিন ড.মোশাররফ শবনম বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক সাদমান তাহারীফ প্রত্যয়ের প্রবেশ নিষেধ। এ কারণে আমার ডিন অফিসের রুমে ৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য বসার জায়গা রয়েছে। প্রত্যয় পরীক্ষা চলাকালীন দায়িত্বে থাকায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি সভায় চলে যাই।  এ সময় ডিন অফিসের সামনে আন্দোলন চলাকালে সেখানে উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা জানায় ৫ ছেলে ও দুই মেয়ে পরীক্ষায় প্রকাশ্যে নকল করেছে। আমি অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০ মার্কসের ওই মিডটার্ম পরীক্ষা বাতিল করি। একই সঙ্গে পরীক্ষার খাতা ছিঁড়ে ফেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।  

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক সাদমান তাহারীফ প্রত্যয় নানা কারণে ইতোমধ্যেই আলোচিত-সমালোচিত। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ কারণে গত এক মাস যাবত তার অধীনে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এরপরেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮ 
এমএএএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।