ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

রুয়েট কর্মচারী হত্যার ঘটনায় মামলা, সন্দেহভাজন আটক

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
রুয়েট কর্মচারী হত্যার ঘটনায় মামলা, সন্দেহভাজন আটক রুয়েট বাস চালককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল

রাবি: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাস চালককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নগরের মতিহার থানায় নিহত আব্দুস সালামের বড় ছেলে হাসিবুল ইসলাম পলাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আটক ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহত বাস চালকের নাম আব্দুস সালাম (৫৫)। তিনি পরিবারসহ রুয়েটের কর্মচারী কোয়ার্টারেই থাকতেন। দুই সপ্তাহ আগে তিনি হেলপার থেকে চালক হিসেবে পদোন্নতি পান। সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে রুয়েটের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের পাশে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার মুখে ও পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহত সালামের স্ত্রী হাসনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, তার এক প্রতিবেশী আব্দুস সালামকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে ছেলেদের খবর দেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।

তিনি আরো জানান, চার বছর আগে তার বড় ছেলে পলাশের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের ঝামেলা হয়। ওই ঘটনায় পলাশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। মামলাটি এখন বিচারাধীন। গত রোববার ওই মামলার সাক্ষী দেন তার স্বামী। এরপরের দিনই এ ঘটনা ঘটে।      

এ ব্যাপারে নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শাহাদত হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের ছেলে পলাশ মঙ্গলবার সকালে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা সন্দেহভাজন একজনকে আটকও করেছি। ’ সালামের পদোন্নতি এবং পলাশের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকতা।

এদিকে, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির নেতাকর্মীরা। সকাল ১১টা থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করে। কর্মসূচি থেকে জড়িতদের গ্রেফতারে চব্বিশ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

এছাড়াও ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর সাত দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হল- সব রাস্তা ও হাঁটার পথে উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থা করা, সব ফটক, মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, অগ্রণী গেট বন্ধ করা এবং সব প্রবেশ পথে যানবাহন স্ক্যানিং সিস্টেম চালু করা, খেলার মাঠে রুয়েট শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা, জরুরি প্রয়োজনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয়কে এর ক্ষতিপূরণ দেয়া।

জানতে চাইলে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ বলেন, ‘ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দ্রুত তদন্ত করে খুনিদের আটক করার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।