ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলা, আহত ৪০

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলা, আহত ৪০ পুলিশ লাইন সড়কে ভাংচুরের শিকার হওয়া একটি বাস। ছবি: বাংলানিউজ

কুমিল্লা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বাস ভাংচুরসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। 

রোববার (১৩ মে) বিকেলে কুমিল্লা নগরের পুলিশ লাইন সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভিসির অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

হামলাকারীরা কুমিল্লা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অধিবাসী বলে দাবি কিছু শিক্ষার্থীর। অভিযোগ উঠেছে পুলিশের দিকেও। আহত শিক্ষার্থীদের রক্ষা না করে বরং তাদের দিকেই পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে বলে জানান অনেকে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের বহনকারী বাসগুলো নগরের পুলিশ লাইন এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বাসটি (কুমিল্লা স-১১-০০১১) থামাতে চালক আব্দুস সামাদকে নির্দেশ দেয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় পেছন থেকে একদল হামলাকারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাসে হামলা চালায়। পরে বাস থেকে শিক্ষার্থীদের নামিয়ে রাস্তার এক পাশে জড়ো করে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

এ সময় শিক্ষকদের একটি বাস (কুমিল্লা স ১১-০০০৮), কর্মচারীদের একটি বাসসহ (কুমিল্লা ঝ-১১-০০১৪) বিআরটিসির ভাড়া করা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। পুলিশের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করে এবং পুলিশও মারধরে অংশ নেয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।  

মারধরের ঘটনায় আহত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তণের সভাপতি ওয়াসি মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ বাস থামানো হয়। পুলিশ আমাদের মারতে থাকে। একপর্যায়ে বায়জিদ ইসলাম, সজিব দাস বাঁধন ও আমি এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে মারধরের কারণ জানতে চাই। তখন পুলিশ আমাদেরকে পুলিশ লাইনের ভিতরে নিয়ে মারধর করে।

মারধরের সময় ঘটনাস্থলে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন বলে এক সূত্র সাংবাদিকদের জানান।  

এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুঠোফোনে বলেন, ‘একটা বাসই শুধু ভাংচুর করা হয়েছে। আর আমরা সহনীয়মাত্রায় কাজ করি। অনেক কিছুই হয়ত শোনা যাবে।

এরপর ব্যস্ততার কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। কুমিল্লা সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে তারা জানিয়েছেন, তাদের কোনো শিক্ষার্থী এ হামলায় জড়িত নয়।

হামলায় পুলিশের অংশ নেওয়ার বিষয়ে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। আগামীকাল (সোমবার, ১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, ১৩ মে, ২০১৮
এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।