ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষা-গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো দাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
শিক্ষা-গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো দাবি বক্তব্য রাখছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। 

উপাচার্য বলেন, দক্ষ জনবল ছাড়া সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যেই শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত।


 
মঙ্গলবার (১২ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি এ সভার আয়োজন করে।  
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

আলোচনায় অংশ নেন অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিক উজ্ জামান, কমনওয়েলথ সচিবালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শাখার সাবেক প্রধান ড. এম এ রাজ্জাক ও বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম।
 
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যথাসময়ে বাজেট বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। বাজেটের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।  

বিস্তারিত মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণের জন্য সংসদে উপস্থাপনের আগেই তিনি জাতীয় বাজেটের তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশের পরামর্শ দেন।  
 
মূল প্রবন্ধে কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থিক বৈষম্য নিরসন করে টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।  

এতে বলা হয়, বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও কার্যকর কৌশল গ্রহণ প্রয়োজন। ভ্যাট, কাস্টমস ডিউটি ও আয়কর খাতে কোনো উল্লেখযোগ্য সংস্কার না করে ৩০ শতাংশ রাজস্ব আদায় সম্ভব নয় বলেও প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়।  

ব্যাংকিং খাতে প্রণোদনার বিষয়টি রাজস্ব খাতে অস্থিরতা আনবে উল্লেখ করে প্রবন্ধকার বলেন, দ্রুত সংস্কার কমিশন গঠন করে ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা ও অস্থিরতা দূর করতে হবে। জাতীয় বাজেটের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন ও অপচয় রোধে তিনি অর্থবছরের সময়সীমা জুলাই-জুনের পরিবর্তে এপ্রিল-মার্চ করার প্রস্তাব দেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।