ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আটক ৫

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৮
ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আটক ৫ প্রতীকী ছবি

বরিশাল: ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় পাঁচ ছাত্রকে আটক করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (২৭ জুন) বেলা আড়াইটায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংকালে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯) এর সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ২৭ জুন অনুষ্ঠিত ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ৬ষ্ঠ সেমিষ্টারের অটোক্যাড-২ বিষয়ের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।

এ খবর পাওয়ার পর থেকেই ফাঁসকারীদের আইনের আওতায় আনতে অভিযানে নামে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।

থানার আওতাধীন এলাকা থেকে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকার মো. সোনা মোল্লার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (১৯), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব চইতা এলাকার আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে মো. আবু নাঈম (২০), বাউফল উপজেলার মদনপুরা এলাকার সোহরাব হোসেন সরদারের ছেলে সাব্বির হোসেন সোহেল (২০), বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার গোলবুনিয়া এলাকার মো. সফিকুল ইসলাম মৃধার ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম নাছিম (২০) ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নলুয়া এলাকার মো. হুমায়ুন কবির তালুকদারের ছেলে মো. তারেক রহমানকে আটক করা হয়।

আটকেরা সবাই বরিশালের ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র বলে জানিয়ে ওসি বলেন, আটকের পর ওই ছাত্রদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ধারণ করা অবস্থায় ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের হাতে লেখা কপি উদ্ধার করা হয়।

যে কারণে মোবাইলগুলো জব্দ করা হয় এবং জেলা প্রশাসন, বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়।  

পরবর্তীতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. সুশীল কুমার পালকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের যাচাই-বাছাই করেন। যাচাই-বাছাইকালে ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ৬ষ্ঠ সেমিষ্টারের অটোক্যাড-২ বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের মিল পাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করেন।

এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) হাবিবুর রহমান খান বলেন, আটক ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার রামনগর এলাকার মো. ফারুক মীরের ছেলে মো. জাহিদ ইসলাম (২০) এর মোবাইল ফোন থেকে এই প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এ ঘটনায় পলাতক জাহিদসহ আটক পাঁচজন এবং অজ্ঞাতদের নাম উল্লেখ রেখে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৮
এমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।