ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ, অনিশ্চিত সিনেট অধিবেশন

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ, অনিশ্চিত সিনেট অধিবেশন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে অ্যাক্ট, স্ট্যাটুট ও কার্যপ্রণালী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রেখেছে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। এতে পূর্ব ঘোষিত সিনেট অধিবেশন আজ হবে কি না এ নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনের তিনটি ফটকে ব্যানার ঝুলিয়ে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের একাংশ। এতে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিধি মানছেন না বর্তমান উপাচার্য। অগণতান্ত্রিক উপায়ে তিনি সব কাজ করছেন। আমাদের দাবি মেনে না নিলে যেকোনো মূল্যে সিনেট অধিবেশন প্রতিহত করা হবে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের সংশোধিত ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের মূল বাজেট উপস্থাপন করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিনেটররা আলোচনা করবেন।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার ঘোষণা দেন ১৯৭৩ এর অ্যাক্ট অনুসারে সিনেট সদস্যদের মধ্যে থেকে তিনজন সিন্ডিকেট সদস্য ও একজন অর্থ কমিটির সদস্য নির্বাচনের বিষয়টি সিনেট আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত না করলে সিনেট অধিবেশন প্রতিরোধ করা হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন তারা।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক মাস আগে বিধি মোতাবেক সিনেট অধিবেশনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের’ পক্ষ থেকে সিনেট অধিবেশন প্রতিহত করার কোনো কর্মসূচির আভাস ইতোপূর্বে দেওয়া হয়নি। অধিবেশন আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর হঠাৎ এ কর্মসূচির ফলে সম্মানিত সিনেট সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির সুযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করেন অনাকাঙ্ক্ষিত এ কর্মসূচির ফলে সম্মানিত সিনেট সদস্যদের সম্মান ক্ষুণ্ন হবে এবং নবনির্বাচিত রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট সিনেট সদস্যদের অভিষেক বাধাগ্রস্ত করবে।

১৯ বছরের একটি অচলাবস্থা নিরসন করে সিনেটে যারা রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের অভিষেক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশন সফল করার লক্ষ্যে সব সম্মানিত সিনেট সদস্যদের একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ ঘোষিত কর্মসূচি পুন‍ঃবিবেচনা করে সিনেট অধিবেশন সফল করতে সহযোগিতা করবে বলে আশা ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।