ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

এডুকেশন রাইটসের চার দফা দাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
এডুকেশন রাইটসের চার দফা দাবি এডুকেশন রাইটসের চার দফা দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চারটি দাবি তুলে ধরেছে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস নামের একটি সংগঠন। 

বুধবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটসের আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ।



প্রথম দাবি হল- বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাজেটের ভেতরে এনে সুপরিকল্পিত একটি নীতিমালা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি ব্যক্তি যেন শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় চলে আসে। যারা শিক্ষার আলো থেকে ঝরেপড়ে তাদের কর্মক্ষম করতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিজ্ঞানসম্মত কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা দরকার। শুধু দেশ নয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও যেন শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা যায় সে ধরনের সিলেবাস প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রত্যেক মানুষের খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীতা উল্লেখ করে দ্বিতীয় দাবিতে বলা হয়, মানুষ প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে খাদ্য সরবরাহ আরও সুলভ করা প্রয়োজন। খাদ্য উৎপাদনে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ভর্তুকিসহ আরো সহজ শর্তে ঋণ, অনুদান দিতে হবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সবাইকে পারদর্শী করার যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।

তৃতীয় দাবি হলো চিকিৎসা খাত নিয়ে। সংগঠনটির মতে চিকিৎসাখাতটি এখন অনেকাংশে বেসরকারি হাতে চলে যাচ্ছে। এতে প্রচুর ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জন্যে কষ্টসাধ্য হচ্ছে। কমিউনিটি হাসপাতাল, থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোকে আরও সম্প্রসারণ করা ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা প্রয়োজন। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্বশীলতা আরও বৃদ্ধি ও পর্যবেক্ষণ করা দরকার।

মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটসের চতুর্থ দাবি হলো কর্মসংস্থান নিয়ে।  প্রতিটি ব্যক্তিকে কর্মসংস্থানের মধ্যে আনতে হবে। ‘স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে প্রতিটি মানুষের হাতে কাজ চাই’ এ স্লোগানে কাউকেই আর শ্রমবিহীন রাখা যাবে না। সবাইকে যোগ্যতা ও সামর্থ অনুযায়ী কাজে নিয়োজিত করার যাবতীয় কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। পাশাপাশি দেশীয় শিল্প-বাণিজ্য, বৈদেশিক বাণিজ্য, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক নিরাপত্তা, তথ্য-প্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন, খনিজ ও জ্বালানি, প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগানো, সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারের যাবতীয় প্রযুক্তি-প্রশিক্ষণ, শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন নিশ্চিতকরণ, ক্রীড়ান্নোয়ন, সবক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদার্পণ করবে। সে উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে প্রতিটি মানুষের হাতে কাজ চাই’। এ ক্ষেত্রে নির্বাচিত সরকারই এর ব্যবস্থা করবে। কিভাবে পরিকল্পনা নিলে দেশের প্রতিটি মানুষকে শ্রমে নিয়োজিত করা যায় সেই চিন্তাটি সামনে রেখে যেন নির্বাচনী ইশতিহার প্রণয়ন ও নির্বাচিত হওয়ার পর তা বাস্তবায়ন করা হয় তা আশা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।