মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, সিন্ডিকেট সদস্য হুমায়ুন কবির, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
মানববন্ধনে আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, কিছু শিক্ষক আছে যারা ছাত্রদের বিরুদ্ধে স্বার্থবাদী কাজ করেন। এর ফলে আমাদের শিক্ষকদের মাথা নিচু হয়ে যায়। সম্প্রতি শাবিপ্রবির ঘটনায় খোঁজ নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। কিন্তু এ ঘটনাটি যদি আংশিক সত্য হয়, তবে শিক্ষক নামের কেউ এ পদে থাকতে পারেন না। এজন্য তাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা কেন আত্মহত্যা করে তা খোঁজ নিয়ে তার সমাধান হওয়া চাই।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘প্রতীকের মৃত্যু আত্মহত্যা না হত্যা?’, ‘আত্মহত্যা বন্ধ হোক’, ‘ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ার সত্ত্বেও প্রতীক কেন থিসিস করার সুযোগ পেল না’, ‘আত্মহত্যা প্রচারোনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’সহ বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করেন। এসময় তারা তাইফুর রহমান প্রতীকের আত্মহত্যার কারণ দ্রুত খুঁজে বের করতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতি আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন প্রতীক। গত ১৪ জানুয়ারি তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/