বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. নূরজাহান বেগম এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরে ড. নূরজাহান বেগম বলেন, দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি তারা চার পর্বে সাজিয়েছেন।
শোভাযাত্রা শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. নূরজাহান বেগম।
এছাড়া দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। ২৬ জানুয়ারি প্রথম অধিবেশনের প্রধান অতিথি থাকবেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এএইচএম আব্দুল মোমেন। সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
দু’দিনব্যাপী জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ব্যান্ড-শো ও আতশবাজির ব্যবস্থা থাকছে। স্কুলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রয়াস ও অংশগ্রহণে আগামী ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠান চলবে।
বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে দীর্ঘ দু’বছর ধরে সবার অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগিতায় উদযাপন কমিটি অনুষ্ঠানের ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে প্রায় চার হাজার পাঁচশ’ জন ছাত্রের রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলেও জানান আহ্বায়ক ড. নূরজাহান বেগম।
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল বাংলাদেশের আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের ঐতিহ্যবাহী প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের ইংরেজী শিক্ষার প্রসার লাভের জন্য লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং তার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ও উৎসাহে ১৮২৮ সালে ‘বউলিয়া ইংলিশ স্কুল’ নামে সর্বপ্রথম এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন।
পরে শিক্ষা বিস্তারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উইলিয়াম অ্যাডাম ১৮৩৫ সালে নাটোরে শিক্ষা জরিপ শেষে রাজশাহী বউলিয়া স্কুল পরিদর্শনের পর সরকারের কাছে স্কুলের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরলে ১৮৩৬ সালে ২০ জুন স্কুলটিকে সরকারিকরণ করা হয়। ১৮৭৩ সালে বউলিয়া সরকারি ইংলিশ স্কুলের সঙ্গে মহাবিদ্যালয়ের দু’টি শ্রেণি সংযোজিত হয়। তখন থেকেই এর নামকরণ হয় ‘রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল’।
এর আগে প্রথম ১৯৩৬ সালে কলেজিয়েট স্কুলের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হয়ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
এসএস/এএটি