শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া গ্রামের মোল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রুনা মোল্লা বাড়ির নুরু মোল্লার মেয়ে।
সে ওই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলো।
রুনার বাবা নুরু মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, মাদ্রাসার অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র এলেও রুনার প্রবেশপত্র পরীক্ষার আগে না আসায় ক্ষোভ ও অভিমানে সে পরিবারের লোকজনের অগোচরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মাদ্রাসা সুপার পলাতক।
মাদ্রাসার অফিস সহকারী আব্দুল খালেক হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, বাবার নাম ঠিক থাকলেও রুনার মায়ের নাম প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভুল দেওয়ার কারণে তার প্রবেশপত্র দিনাজপুর জেলায় চলে যায়। কিন্তু পরীক্ষার আগ পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
ওই মাদ্রাসার সুপার (প্রধান) আহসান উল্যার কাছে প্রবেশপত্র না আসার কারণ জানার জন্য মাদ্রাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীর মামা ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠানের সুপার আহসান উল্যাহর দায়িত্বে অবহেলার কারণে আমার ভাগনি পরীক্ষা দিতে পারেনি। একটি বছর পিছিয়ে পড়লো। পরীক্ষার আগে তার সব বকেয়া বাবদ পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা নুরু মোল্লা চাঁদপুর মডেল থানা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা বাংলানিউজকে বলেন, ওই ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারার কারণ তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
জিপি