মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক খাইরুল কবির সুমনসহ সমিতির নেতারা ভিসির অনুপস্থিতিতে তার বিশেষ সহকারী (পিএস) আমিনুর রহমানের কাছে এ স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে ভিসির অনিয়ম বন্ধ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তার উপস্থিতি নিশ্চিত করার দাবিসহ ১৮ দফা পেশ করা হয়।
এছাড়া আছে অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ইউজিসি থেকে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক পদ অনুমোদন নিয়ে অস্থয়ী পদে কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সেশনজট দূর করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণারত শিক্ষকদের সবেতনে ৫ বছরসহ মোট শিক্ষাছুটি ৭ বছর নির্ধারণ করে অতি দ্রুত শিক্ষাছুটি নীতিমালা প্রণয়ন করা; এনওসি ও অভিজ্ঞতা সনদসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া দুই থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করা; সব পরীক্ষার পারিতোষিক ফলাফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ফলপ্রসূ করতে অনুষদে উপস্থিত যোগ্য শিক্ষককে ডিন ও বিভাগে উপস্থিত যোগ্য শিক্ষককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করা; গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের নিয়োগে অন্যান্য বিভাগের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত ২৯ নং আইনের ২৮ (২) ধারা মোতাবেক কার্যক্রম নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের গেজেট অনুযায়ী বিভাগের একাডেমিক প্ল্যানিং কমিটি গঠন করা; সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ধর্মীয় উপাসনালয় স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া; দ্রত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের গম্বুজসহ দ্বিতীয় তলার কাজ শুরু করা, বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে রেখে শিক্ষাকার্য স্পৃহাহীনতা সৃষ্টিকারী হয়রানি বন্ধ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাংকের স্থায়ী শাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট স্থাপন করার দাবি।
স্মারকলিপির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির সুমন বাংলানিউজকে বলেন, ভিসির দায়িত্বকালের প্রায় অর্ধেক সময় অতিক্রান্ত হতে চললেও বিশ্ববিদ্যালয়ে হতাশা ও নৈরাশ্য কমেনি বরং বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অস্থিরতার পরিবেশ বিরাজ করছে, যার অন্যতম প্রধান কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির অনুপস্থিতি। যার ফলে দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় তথা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সম্পর্কে নানাভাবে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য যোগদানকৃত শিক্ষকদের ছুটিবিহীন অনুপস্থিতি শিক্ষা সংকট তৈরি করেছে, প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ অধিকর্তা সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার ৬৩ জন সদেস্যর সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষকদের অধিকার, স্বাধীনতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও পবিত্রতা সংরক্ষণের লক্ষ্যে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রফেসর ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও খায়রুল কবির সুমন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এইচএ/