তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী। এজন্য উচ্চতর শিক্ষাদান ও ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত সিলেবাস প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষির আধুনিকায়নের উদ্দেশ্যে কৃষি গবেষণা ও গবেষণালব্দ জ্ঞান প্রয়োগের বিষয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য এবং দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভা সঞ্চালন করেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। এছাড়া সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা মাঠ পর্যায়ে কী ভূমিকা রাখছে এবং কী ভূমিকা রাখতে পারতো তা দেখতে হবে। আমাদের পুষ্টিকর খাদ্যের প্রথমেই আসে মাছের কথা, আর মাছের খাদ্য আসে কৃষি থেকেই। একটি অন্যটির সঙ্গে জড়িত। তেমনি কৃষি শিক্ষা ও কৃষি গবেষণাও। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সেখানকার শিক্ষারমান যেন বিশ্বমানের হয়, এজন্য আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করবো।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের কমিউনিকেশন দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের কৃষিবিদদের যেন উচ্চতর ডিগ্রি নিতে বিদেশ না যেতে হয় সে ব্যবস্থা দেশে নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চতর ডিগ্রির ক্ষেত্রে কোর্স ওয়ার্ক অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।
উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যরা বলেন, আধুনিক উন্নতশিক্ষার জন্য উন্নত ল্যাব প্রয়োজন। গবেষণা কার্যক্রম দেশকেন্দ্রীক এবং প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে হতে হবে। শিক্ষার্থীদের এক বছর মাঠ পর্যায় থেকে কলমে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। গবেষণা মাঠ পর্যায় নিয়ে যেতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর দপ্তরের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ থাকা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস