ঢাকা: প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার মতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায়ও শীর্ষে রয়েছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড।
এই বিভাগে ৮৫ হাজার ৬০৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮২ হাজার ৯০৫ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৭ হাজার ২১৩ জন।
এখানে ছাত্রদের পাসের হার ৯৩ দশমিক ২৫, আর ছাত্রীদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৮শ’ ৮৬ জন। এর মধ্যে ৯শ’ ৩৬ জন ছাত্র ও আর ৯শ’ ৫০ জন ছাত্রী।
বুধবার বিকালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এর আগে নুরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করেন।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুমিল্লা। এই বিভাগে ২ লাখ ৬৬৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯১৪ জন অংশ নিয়ে পাস করে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬ শিক্ষার্থী। এই বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ ভাগ।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড। এখানে ১ লাখ ৭২ হাজার ১৩৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৮ জন অংশ নিয়ে পাস করে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪৩ জন। এখানে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩৫ ভাগ।
৮৩ দশমিক ৩৪ ভাগ পাসের হার নিয়ে চতুর্থ স্থান লাভ করে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। এখানে ৯৪ হাজার ৩৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯২ হাজার ৬৭৫ জন অংশ নিয়ে পাস করে ৭৭ হাজার ২৩৫ শিক্ষার্থী।
রাজধানী ঢাকার স্থান রয়েছে পঞ্চমে। এখানে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪৫ ভাগ। পরীক্ষার্থী ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫০১ জন। এর মধ্যে অংশ নেয় ৪ লাখ ৫০ হাজার ১৪৭ জন। পাস করে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫৯ শিক্ষার্থী।
এরপরেই রয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। এখানে ১ লাখ ৯৫ হাজার ১৫৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪১ জন অংশ নিয়ে পাস করে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯। পাসের হার ৭৯ দশমিক ৮৮ ভাগ।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের স্থান সপ্তম স্থানে। এখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫০ জন। অংশ নেয় ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫০৫ জন। এর মধ্যে পাস করে ১ লাখ ৫৪ ৫৬০। পাসের হার ৭৯ দশমিক ৮৭ ভাগ।
অষ্টম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। পরীক্ষার্থী ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৮ জন। অংশ ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬০। পাস করে ৯০ হাজার ২৭৫ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৭২ দশমিক ৬৫ ভাগ।
এদিকে মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৭১ ভাগ। এই বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২৪ হাজার ২২৫ জন। এর মধ্যে অংশ নেয় ৩ লাখ ৯ হাজার ৯০২ জন। পাস করে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৩।
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১০ সাল থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ১ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ২ হাজার ৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা হয়।
এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র ও গণিত ছাড়া সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে সৃজনশীল প্রশ্নে।
এ বছর অষ্টম শ্রেণীর ১৮ লাখ ৬১ হাজার ১১৩ পরীক্ষার্থী দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৮ হাজার ৪৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪২২ ও জেডিসিতে ৯ হাজার ১১৭টি মাদ্রাসার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৯১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
জেএসসি পরীক্ষায় এবার পাশের হার ৮২ দশমিক ৬৭ এবং জেডিসি পরীক্ষায় ৮৮ দশমিক ৭১ ভাগ। দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ হাজার ৮৫২ শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১১